দেশের সব মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসগুলোকে তাদের ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতিটি লেনদেনের ডিজিটাল রশিদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
দুদক চেয়ারম্যান মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতিটি লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করতে এবং সন্দেহজনক লেনদেন সংঘটিত হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্টিং এজেন্সিকে রিপোর্ট করতে নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ সব নির্দেশনার বিষয়টি সবাইকে অবহিত করেন।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলোর নির্বাহীদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে অপরাধীরা যাতে ঘুষ লেনদেন কিংবা জঙ্গি অর্থায়ন করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ কমিশনে অভিযোগ রয়েছে অপরাধীরা এ জাতীয় চ্যানেল ব্যবহার করে ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। তাই এ বিষয়ে কমিশনের উদ্বেগ রয়েছে। আমরা চাই সবার সহায়তায় সমন্বিতভাবে পদ্ধতিগত উন্নয়নের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ করতে।
তিনি বলেন, কমিশনে একজন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে। তিনি অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে আপনাদের কাছে তথ্য চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাকে তথ্য প্রদান করবেন।
এ সময় বিকাশ লিমিটিডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন দুদক চেয়ারম্যানকে জানান, তাদের মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের সব রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন চাইলে এ সব লেনদেনের তথ্য তারা কমিশনকে সরবরাহ করবে। তারা আরও জানান, সন্দেহজনক লেনদেন হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়মিত জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রকেটের এসইভিপি আবেদুর রহমান সিকদার, বিকাশের হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. মেজবাউল হক, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, দুদকের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আনম আল ফিরোজ, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমুখ।