নড়বড়ে মোদি সরকার পুরো মেয়াদ টিকবে না, বিদেশি মিডিয়ায় খোঁচা রাহুলের

তৃতীয় মোদি সরকারের ‘স্থায়িত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস (Congress) নেতা দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ বিজেপি (BJP) সরকার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে এবার। এনডিএ শরিকদের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে। এর জন্য কঠিন সংঘর্ষ চালাতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ।

এবারে লোকসভা ভোটের প্রচারে চারশো পারের দাবি করেছিলেন মোদি। যদিও ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। বিজেপি একার ঝুলিতে ২৪০। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন। এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে টিডিপির ১৬, জেডিইউর ১২, শিন্ডেসেনার সাত, এলজিপিআর-এর পাঁচ সাংসদের সমর্থন। তৃতীয় মোদি সরকারের এই পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘ফিনানশিয়াল টাইমস’কে রাহুল বলেন, ভারতীয় রাজনীতি উন্মুক্ত একটি পর্যায়ে চলে এসেছে। এবারের নির্বাচনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।

কংগ্রেস নেতা খোঁচ দেন, “সংসদীয় অঙ্ক এমন ভঙ্গুর অবস্থান রয়েছে যে ভবিষ্যতে সামান্য মতবিরোধেও সরকারের পতন ঘটাতে পারে।” রাহুল আরও দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মোদিজিকে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলেছে আমজনতা। গত ১০ বছর ধরে যে অযোধ্যা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিল দলটি। সেখানেই ধুয়েমুছে গিয়েছে তারা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ধর্মীয় বিদ্বেষের রাজনীতি ধুয়েমুছে গিয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের শুভ বুদ্ধির কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা।

এর আগে মোদি সরকারের ‘স্থায়ীত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মমতা বলেছিলেন, “ইন্ডিয়াই আগামী দিনে সরকার গড়বে। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলছি।” এর পর ১৫ জুন কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় ভোটদাতারা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে রায় দেননি। এটি একটি সংখ্যালঘু সরকার। এই সরকারের যে কোনও সময়ে পতন হতে পারে।”

আরও সংবাদ