মু‌ক্তিযু‌দ্ধে অবদান রাখায় কুলাউড়ার আব্দুল জব্বার একু‌শে পদ‌কে ম‌নোনীত

মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাবেক সাংসদ মরহুম আব্দুল জব্বার একুশে পদকের (মরণোত্তর) জন্য মনোনীত হয়েছেন। একু‌শে পদকের জন্য ম‌নোনীত মোট ২০ জনের এই তা‌লিকায় তিনিও একজন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কৃ‌তি সন্তান মরহুম আব্দুল জব্বার একুশে পদকের (মরণোত্তর) জন্য মনোনীত হয়েছেন।

বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে তা‌লিকা‌টি প্রকাশ করা হয়।

মরহুম আব্দুল জব্বারের পুত্র, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম জানান, মরহুম আব্দুল জব্বার ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয়-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন ও ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রণাঙ্গণের যোদ্ধা ছি‌লেন এবং দে‌শের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

জানা যায়, মরহুম আব্দুল জব্বার কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সভাপতির দা‌য়িত্ব পালন ক‌রেন। পাশাপাশি তি‌নি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ঘাতক নির্মূল কমিটি, কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (১৯৬৪) ছিলেন। আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে, তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন উপেক্ষা করে আমৃত্যু বাংলার গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর প্রতিবাদ করার কারণে তিনি দুইবার কারারুদ্ধ ছিলেন।

প্রথমবার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পূনরায় সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে পুনরায় কোরবানি ঈদের রাতে গ্রেপ্তার হন। জেলের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রধান খুনি মেজর নুর অমানুষিক নির্যাতন করে এবং হত্যার জন্য উদ্ধৃত হয়। সেই সময় তৎকালীন সেনা অফিসার, পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত প্রয়াত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরী তাঁকে উদ্ধার করেন।

জাতির এ সূর্য সন্তান শোকের মাস আগস্টে ১৯৯২ সালের ২৮ আগস্ট মাত্র ৪৭ (১৯৪৫-১৯৯২) বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ