বড়লেখায় জনমনে আতঙ্ক, মাঠে রয়েছে তৎপরতায় প্রশাসন

বাজারগুলোতে নেই মানুষের কোলাহল। চিরচেনা বাজারগুলো ফাঁকা। সড়কগুলো নিস্তব্ধ। জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরীসেবা ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পর দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় ফাঁকা সকল রাস্তা-ঘাট। এই অবস্থা বড়লেখা উপজেলার।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দোকানপাট বন্ধ। ওষুধ ও মুদি দোকানগুলো খোলা থাকলেও ক্রেতাসমাগম নেই। হঠাৎ দু’একটি গাড়ির চলাচল, সড়কে নেই যানজট। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তারা দ্রুত চেষ্টা করছেন ঘরে ফেরার। প্রশাসনের নজরদারির কারণে এই অবস্থা। একসাথে ঘোরাফেরাও করছেন না কেউ।

বড়লেখায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত না হলেও মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হাসপাতালের তথ্য মতে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৬৮ । কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়েছেন ২৬ জন। তবে বড়লেখায় প্রবাস ফেরতদের সংখ্যা অনেক বেশি।

অপরদিকে (২৭মার্চ) শুক্রবার বড়লেখা পৌরসভায় অবৈধভাবে পেয়াজ মজুদ করায় এক মজুতদার কে ২০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,বড়লেখা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামীম আল ইমরান। এছাড়া বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনও বড়লেখা থানা পুলিশের উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম শামীম আল ইমরান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে ঘরে থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। এর ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত (দরিদ্র) তাদের খাবারের ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। যাদের প্রয়োজন সবাইকে পৌঁছে দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, চায়ের দোকানে, বাজারে কোথাও আড্ডা দেওয়া যাবে না। এসব কাজে যাদের পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এশিয়াবিডি/রিপন/কামরান

আরও সংবাদ