রাজনগরে ১০ টাকা কেজির চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ
মৌলভীবাজারের রাজনগরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর (ওএমএস) আওতায় হতদরিদ্রদের কাছে বিক্রির জন্য ১০ টাকা দরের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ মিলেছে, উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মধুর দোকানের এক ডিলার জনপ্রতি বরাদ্দের তুলনায় ক্রেতাদের ৩-৪ কেজি করে চাল কম দিয়েছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ওএমএসের আওতায় একেকজন হতদরিদ্রকে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। তবে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এই চাল বিক্রিতে জনপ্রতি ৩-৪ কেজি করে কম দিয়েছেন বলে উপজেলার মধুর দোকান এলাকার ডিলার জহিরুল ইসলাম সুমনের বিরোদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
উপকারভোগীদের কয়েকজন চাল কিনে অন্য দোকানে মেপে দেখেন পরিমানে কম রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে টের পেয়ে ওই ডিলার দোকান বন্ধ করে সড়ে পড়েন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এব্যাপারে খোঁজখবর নিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেন। পরে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে ওসি (এলএসডি) চন্দ্রসেন রায় গিয়ে কয়েকজন উপকারভোগীর চাল মেপে কারো বস্তায় ২৬ কেজি আবার কারো বস্তায় ২৭ কেজি চাল রয়েছে দেখেন।
বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঊর্মি রায়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুন নূর, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক শাকির আহমদ খানসহ রাজনগর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তারা ডিলারকে খবর দিয়ে এনে দোকান খুলে বাকী চালের বস্তাগুলো মেপে দেখেন সেগুলোতে কম রয়েছে। এসময় যেসব বস্তায় কম রয়েছে সেসব বস্তায় ৩০ কেজি পূর্ণ করে উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করতে ওই ডিলারকে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই ডিলারের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুন নূর বলেন, ওজনে চাল কম দেয়ার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি রায় বলেন, খবর পেয়ে আমি সহ খাদ্য নিয়ন্ত্রক ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। এই কার্যক্রম যাতে বন্ধ না থাকে সেজন্য ওই ডিলারকে আপাতত পুরো ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করতে বলেছি। তার বিরোদ্ধে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে রিপোর্ট দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলা হয়েছে।
এশিয়াবিডি/ফরহাদ/কামরান

