মৌলভীবাজারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রী হয়রানি
মৌলভীবাজার-শমসেরনগর রোড
মৌলভীবাজার-শমশেরনগর রোডে সংস্কারের অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে দিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এনিয়ে যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিকভাবে একাধিক বার আবেদন করলেও এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। যাত্রীরা অনেকটা পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে প্রতিদিন দিগুণ ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে হতে হয় হয়রানির শিকার।
জানা যায়, ব্যস্থতম ওই রোডে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মৌলভীবাজার টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সমাজ সেবার এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চক্ষু হাসপাতাল, রেডিও পল্লী কন্ঠের অফিস, এম ঈসরাইল এ এম আমীর উচ্চ বিদ্যালয়, জিরেনিয়াম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সহ সরকারী-বেসরকারী অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও ওই রোড দিয়ে বিএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। সব মিলিয়ে ওই রোড দিয়ে প্রতিদিন কমলগঞ্জ, শমসেরনগর, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গলের কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করেন।
এদিকে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর রোড দীর্ঘদিন পর সংস্কারের কাজ অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই রোডের মাতারকাপন থেকে আতুরের ঘাট পর্যন্ত নতুন পিছ ঢালাই হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে সংস্কার চলাকালীন সময়ের দিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফুড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান খাদেমুল বাশার বলেন, সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেও দিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কলেজে যাতায়াতের সময় ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ড হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই ভাড়া দেয়া অসম্ভব।
তিনি আরোও বলেন, ‘গত পরশু এক সিএনজি চালক ১০টাকা ভাড়ার জায়গায় ২০ টাকা দাবী করলে আমি এর প্রতিবাদ করি। তখন সিএনজি চালক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে সম্মান বাঁচাতে ২০ টাকা দিয়ে চলে আসি। ওই ইনস্টিটিউটের ষষ্ট পর্বের শিক্ষার্থী আল মিজান বলেন, রাস্তা ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহসিন বলেন, ২০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ৩৫/৪০ টাকায় দিতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে সিএনজি চালকরা খারাপ ব্যবহার করে।
মৌলভীবাজার-শমসেরনগর রোডের সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের সভাপতি সুজা মিয়া বলেন, রাস্তা খারাপ থাকায় বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তবে জোর করে নয়। আগামী শুক্রবারে শ্রমিকরা বসে পূর্বের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করব।
জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আল-আমিন বলেন, ব্যস্থতম এই রোডে এভাবে দফায় দফায় ভাড়া বাড়ানো বেআইনী। অভিযোগ পেলে আইনানোগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান