শবেবরাত এবং করোনা

মহিমান্বিত রজনীতে আমাদের সকলের উচিত নিজের গোনাহের জন্য তাওবা করে রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নেক আশা, আকাঙ্খা পূরণে এবং মরহুম-মরহুমা ব্যক্তির মাগফিরাতের জন্য যত বেশি বেশি দোয়া করা।
দান-সদকা,ফরজ নামাযের পর নফল ইবাদতের মাধ্যমে মোনাজাতে রাত কাটানো। কোরআন তেলাওয়াত, করা রোজা রাখা। কবর জিয়ারত করা এগুলা আমল করা উত্তম।

সংক্ষেপ:

করোনা…..
একদিকে শবেবরাত অন্যদিকে বিশ্বের প্রায় ২০৯ টি দেশ ও অঞ্চলে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এসে আক্রমণ করছে। এমতাবস্থায় সব ধর্মের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, হবে।
মাতৃভূমি বাংলাদেশেও আক্রমণ করেছে মরণব্যাধি করোনাভাইরাস মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে মহামারী করোনায়। গরিবের কান্নাকাটি মধ্যবিত্ত মানুষের অসহায়ত্ব কে দেখে? দেখবেই বা কেন? ভোটের দিন তো শেষ হয়েছে খোঁজ নিতেও ভুলেগেছেন তারা।

সরকার তার নীতির মধ্যদিয়ে সহযোগীতা করছে, করবে। কিন্তু থামছে না গরিবের আহাযারী?
কিছু কিছু এলাকা লকডাউনে রয়েছে। খাদ্যের জন্যও মরতে পারে। নিরবে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য কিছু কিছু মানবপ্রেমিক এগিয়ে এলেও আসছে না বিত্তশালী রাঘববোয়ালরা। আবার কিছু কিছু এলাকায় নিরবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন নায়েবে রাসুল আলিমরা। সিলেটের ফুলতলি পীর সাহেবের বড় ছেলে ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী, মৌলভীবাজারের হাফিয আলাউর রহমান টিপু, মাওলানা জিয়া উদ্দিন ইউসুফের মত যোগ্য নায়বে রাসুল প্রতিদিনই তাদের দান কে গরিবের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে অব্যাহত রেখেছেন।

দেখেছি বেশ কয়েকজন তরুন্যের ভালবাসা নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক খবর প্রকাশের পাশাপাশি নিরবে মানুষের খোঁজ খবর নিতে। নিজের কাছ থেকে অথবা বন্ধুদের কাছ থেকে নিয়েও গরিবের মুখে খাবার দিতে সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের মত সব শ্রেণীর মানুষ এরকম সহযোগীতার হাত বাড়ালে লকডাউনে কোনো অসহায় মা হারা বাবা হারা মায়ের সন্তানের কান্নাকাটি দেখতে হবে না।

অন্যদিকে মসজিদের ইমামদের মনে রাখা খুব দরকার…

সরকারী, আধাসরকারী, বেসরকারী সহ বেশকিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ছুটি জনিত কারনে ঘরে বসেও বেতন-ভাতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে কর্মকর্তাদের। প্রায় চারলক্ষ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম এই কঠিন দূর্যোগকালিন সময়ে অসহায়। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষ যদি ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে তাদের জন্য বিশেষভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করেন তাহলে হয়তো পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটবে। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের দুঃসময়ের কথা বিবেচনায় রাখা সময়ের দাবি।

লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক
এশিয়াবিডি২৪ডটকম

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান 

আরও সংবাদ