গাজীপুর থেকে বালিকাকে অপহরণ করে সিলেটে এনে ধর্ষণ
গত ৩১ অক্টোবর গাজীপুরের চান্দুরা চৌরাস্তায় নানির সাথে কেনাকাটায় বেড়িয়ে অপহৃত হয় ১০ বছরের এক বালিকা। অপহরণের পর সিলেটে এনে ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে অপহনকারীরা। বালিকার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করে তারা।
অবশেষে অপহরণের ১২ দিন পর গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার ও এক অপহারণকারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলণন করে এ তথ্য জানান র্যাব-৯ এর উপ অধিকনায়ক মেজর শওকাতুল মোনায়েম।
সিলেটে র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেজর শওকাতুল মোনায়েম, ৩১ অক্টোবর কেনাকাটায় বেরোনোর পর ওই বালিকা ও তার নানীকে ফুসলিয়ে পাশের একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করাতে নিয়ে যায় দুই অপরিচিত যুবক। এসময় নাস্তার সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয় তারা। পরে নানির জ্ঞান ফিরলে দেখতে পান নাতনি পাশে নেই। নিজের মোবাইল ফোনও নেই। এরপর ওই নানি পাশের আরেকজনের মোবাইল ফোন থেকে নিজের মোবাইলে ফোন দিলে অপহরণকারীদের একজন কল ধরে নাতনিকে ফিরিয়ে দিতে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ব্যাপারে গত ৭ নভেম্বর নানি বাদি হয়ে গাজীপুরের বাসন থানায় একটি মামলা করেন।
মেজর শওকাতুল মোনায়েম বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে র্যাব-৯ এর সিনিয়র এএসপি সত্যজিত কুমার ঘোষের নেতৃত্বে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নিশ্চিন্তপুর থেকে ওই বালিকাকে উদ্ধার করে র্যাব। এসময় তাহের আলী (২০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাহের অপহণকারী চক্রের সদস্য বলে জানায় র্যাব। তিনি নিশ্চিন্তপুরের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
মেজর শওকাতুল মোনায়েম বলেন, উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে অপহৃত বালিকা তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।